রণজিত কুমার রায় / Ranjit Kumar Roy (1955) - Jessore-4
রণজিত কুমার রায় Ranjit Kumar Roy
Home District: Jessore, Bagharpara নির্বাচনী এলাকার নাম ও নম্বর
৮৮ যশোর- ৪
যশোর জেলার বাঘারপাড়া উপজেলা ও যশোর সদরের পাঁচ ইউনিয়ন পরিষদ সমন্বয়ে গঠিত যশোর ৪ নির্বাচনী এলাকার আওয়ামী লীগ মনোনীত বিজয়ী সংসদ সদস্য রনজিৎ কুমার রায় এর জন্ম ১৯৫৫ সালের দশ ফেব্রুয়ারী বাঘারপাড়া উপজেলার তেলীর ধান্যপুরা (খাজুরাবাজার) গ্রামে। পিতা মৃত নগেন্দ্রনাথ রায় এবং মাতা মাখন বালা রায়। পিতা পেশায় একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। রনজিৎ কুমার রায় পুলম গোলাম সরোয়ার উচ্চবিদ্যাল, শালিখা, মাগুরা হতে এস.এস.সি, যশোর মাইকেল মধুসূদন মহাবিদ্যালয় হতে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজে স্নাতক শ্রেণিতে প্রাণীবিদ্যায় অনার্স পড়েছেন। ১৯৬৮ সাল থেকেই তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদ আদর্শে এবং প্রগতিশীল আদর্শে বিশ্বাসী হয়ে ছাত্র আন্দোলনে নিজেকে সক্রিয় রাখেন। ৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে ভারত গমন করে ট্রেনিং গ্রহণ শেষে পুনরায় দেশে ফিরে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। বাবু রনজিৎ কুমার বাঘারপাড়া উপজেলার বন্দবেলা ইউনিয়ন পরিষদের পরপর দুউ মেয়াদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন। ৯১ সালে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ বিলুপ্ত ঘোষনার পূর্ব পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর রাজনৈতিক জীবনে তিনি নিজ খরচে এলাকার হাসপাতালে ফ্রি ঔষধ বিতরণ করেন। এছাড়া নতুন প্রজন্মকে সুশিক্ষিত ও সংস্কৃতবান করার লক্ষ্যে নিজ উপজেলায় বহু স্কুল, কলেজ ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। তাঁর নিজ উপজেলা বাঘারপাড়ায় ১৩টি কলেজ রয়েছে। এছাড়া বহু স্কুল ও মাদ্রাসাও আছে। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে রনজিৎ কুমার রায় বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। বর্তমানে তিনি ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য। স্ত্রী রবীন্দ্র রায় একজন গৃহবধু। এ পরিবারের দু’ ছেলে। বড় ছেলে রাজিব কুমার রায় রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে বর্তমানে ঢাকাতে একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থার সাথে জড়িত। অপর ছেলে সজীব কুমার রায় চিকিৎসা শাস্ত্রে পড়াশুনা করছে। বাবু রনজিৎ কুমার থাইল্যান্ড, ভারত, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া প্রভৃতি দেশ ভ্রমণ করেছেন। বিশেষভাবে নিজ এলাকা এবং সারা বাংলাদেশে দারিদ্র দূরীকরণের লক্ষ্যে মানুষকে শিক্ষিত ও উন্নত জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে তিনি নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর মতে সাম্প্রদায়িকতা এবং সন্ত্রাসবাদ জাতীয় উন্নয়নের প্রধান অন্তরায়। এ দু’টি অপশক্তির বিরুদ্ধে তিনি যুব সমাজকে আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যেতে উদাত্ত আহবান জানান।