রওশন জাহান সাথী
Rowshan Jahan Sathi Home District: Jessore
বেগম রওশন জাহান সাথীর জন্ম ১৯৫১ সালের ৮ মে যশোর শহরে। তাঁর পিতা শহীদ মোশাররফ হোসেন ১৯৭০ সালের নির্বাচনে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। দুষ্কৃতকারীরা জনাব মোশাররফ হোসেনকে নির্মমভাবে হত্যা করে। অপরদিকে রওশন জাহান সাথী-র স্বামী ছিলেন এদেশের ষাটের দশকের বিশিষ্ট ছাত্রনেতা, ’৬২ সালে স্বাধীনতা নিয়কিয়াস সেলের অন্যতম সদস্য বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও জাসদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা কাজী আরেফ আহমেদ। কাজী আরেফ আহমেদকে দুষ্কৃতকারীরা নির্মমভাবে হত্যা করে। পিতা ও স্বামীর শহীদ হওয়া ও নিজে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ও পরবর্তীতে ছাত্র আন্দোলন স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে বিশেষ ভূমিকা রাখায় রওশন জাহান সাথী একজন অসামান্যা নারীর আসন গ্রহণ করেন। যশোর সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় হতে এসএসসি, যশোর মহিলা কলেজ হতে এইচএসসি পাস করে রওশন জাহান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে পড়াশুনা করে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। এমএ প্রিলিমিনারীও তিনি পাস করেন। ছাত্রজীবন হতেই রওশন জাহান ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। তিনি ১৯৬৮ সালে যশোর ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। ’৬৯-এর গণআন্দোলনে তিনি বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। ’৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে তিনি যশেfর থাকাকালে সময়ে ২৭ মার্চ হতে মা, খালাসহ পাক বাহিনী কর্তৃক আটক হয়ে গৃহবন্দী অবস্থায় বেশ কিছু দিন অতিবাহিত করেন। তাঁদের সাথে পাকবাহিনী খুব দুর্ব্যবহার করে। এরপর এক সুযোগে সেখান থেকে তাঁরা পালাতে সক্ষম হন। এরপর তিনি আবার মুক্তিযুদ্ধে একজন নারী হিসেবে বিভিন্নভাবে ভূমিকা পালন করেন। দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭৩ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রোকেয়া হলের ছাত্রী সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়ে ছাত্রীদের দেন। এরপর তিনি বিভিন্ন সময়ে স্বৈরতন্ত্র বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। রওশন জাহান দীর্ঘদিন যাবত আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। ২০০৪ সাল হতে তিনি মহিলা শ্রমিক লীগের সভাপতি এবং জাতীয় শ্রমিক লীগের মহিলা সম্পাদক। ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য হন।
তথ্য সূত্র: সংসদ অভিধান
সংগ্রহ: হাবিব ইবনে মোস্তফা