
Home ঐতিহ্য (Tradition) > যশোহর কেন্দ্রীয় কারাগার (১৮৭৫)
এই পৃষ্ঠাটি মোট 86683 বার পড়া হয়েছে
যশোহর কেন্দ্রীয় কারাগার (১৮৭৫)

অভিযুক্ত কয়েদিদের জন্য কারাগার অভ্যন্তরে একটি এক-শিক্ষক স্কুল আছে। এতে বর্তমানে (জুলাই’৯৬) ৪২৫জন কয়েদি লেখা পড়া করে। একটি ছোট গ্রন্থাগার রয়েছে। এর পুস্তক সংখ্যা ২৬২১। আগ্রহী কয়েদিগণ বইপত্র পড়ে সময় কাটাতে পারে। এতে নৈতিক উন্নয়ন ঘটে। ধর্মীয় শিক্ষাদানের জন্য একজন প্রশিক্ষক আছে। নিজেদের শিশু সন্তানদের শিক্ষা কর্মসূচীর আওতায় আনার জন্য কারাগার কর্মচারীগণ কর্তৃক একটি ফোরকানিয়া মাদ্রাসা একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালিত হয়।
মুষ্টিমেয়ের কিছু লোকের জন্য ব্যবহৃত হলেও কারাগার একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান। সাজাভোগকারী কয়েদিদের কর্মক্ষমতাকে কাজে লাগানোর জন্য উৎপাদনমুখী কৃষি ও শিল্পকর্মভিত্তিক কার্যক্রম গ্রহন করা হয়। যশোর কারাগার প্রাঙ্গনে তিনটি পুকুর রয়েছে। এগুলোতে মাছের চাষ করা হয়। দুগ্ধ উৎপাদনের জন্য একটি পশু খামার এবং সবজী উৎপাদনের জন্য একটি কৃষি খামার রয়েছে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে। কারাগার অভ্যন্তরে কিছু কিছু শিল্পকর্ম পরিচালিত হয়। এসবের মধ্যে তাঁত, পোষাক তৈরী, আসবাবপত্র তৈরী, স্বর্ণালংকার তৈরী, বেত ও বাঁশ শিল্প, পুস্তক বাঁধাই, স্যান্ডেল তৈরী এবং কাপড় ধোলাই উল্লেখ যোগ্য। যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে কৃষি ও শিল্প খাত থেকে প্রতি বছর বেশ কিছু অর্থ আয় হয়ে থাকে।
তথ্য সূত্র : যশোর গেজেটিয়ার