
Home ঐতিহ্য (Tradition) > বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রশাসনিক পরিবর্তন- আপডেট চলছে
এই পৃষ্ঠাটি মোট 86611 বার পড়া হয়েছে
বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রশাসনিক পরিবর্তন- আপডেট চলছে
শাসন ব্যবস্থার উন্নতির জন্য হেষ্টিংস বিচার বিভাগকে রাজস্ব বিভাগ হতে পৃথক করে প্রত্যেক জেলায় একটি করে দেওয়ানী আদালত ও ফৌজদারী আদালত স্থাপন করেন। ফলে যশোরের মুরলীতেও একটি ফৌজদারী ও একটি দেওয়ানী আদালত স্থাপিত হয়। বর্তমানের যশোর, খুলনা, ফরিদপুর জেলাকে আদালতের এখতিয়রভুক্ত করা হয়। টিলম্যান হ্যাংকের এ জেলার প্রথম জজ ও ম্যাজিষ্ট্রেট নিযুক্ত হন। তার সহকারী হয়ে আসেন রিচার্ড রোক সাহেব। উভয়ের জন্য উচ্চ বেতন ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়। মুরলীতে অবস্থিত একটি পুরাতন কুঠি মেরামত করে হ্যাংকেল সাহেবের বাসযোগ্য করা হয়।
হ্যাংকেল সাহেবের প্রশাসন আমল এ অঞ্চলে সুদুরপ্রসারী প্রভাব বিস্তার করে। পূর্বে সমগ্র যশোর অঞ্চলে ৪টি থানা ছিল। যথা- ভূষণা, মীর্জানগর, ধরমপুর এবং খুলানায় নয়াবাদ অঞ্চলে। হ্যাংকেল ম্যাজিষ্ট্রেট হয়ে এসেই প্রত্যেক থানায় দেশী বরকন্দাজ না রেখে বিদেশী সিপাই রাখার প্রস্তাব করেন। সে প্রস্তাব মঞ্জুর হলে মুরলীতে ৪০ জন মীর্জানগর এবং ভূষণায় ৩০ জন এবং ধরমপুরে ৪ জন বিদেশী সিপাই নিয়োগ করা হয়। খুলনার নয়াবাদে কোন বিদেশী সিপাই নিয়োগ করা হলো না। সেখানকার লোক দ্বারাই থানার কার্য চালানো হতো।
কিন্তু এই প্রথা কোম্পানীর নিকট ব্যববহুল মনে হওয়ায় পরবর্তী বৎসর ১৭৮২ সনে এটি বিলোপ করে নতুন ইস্তেহার জারী করা হয়। এতে বলা হয় চুরি ডাকাতি প্রতিরোধের জন্য ম্যাজিষ্ট্রেটের নির্দেশানানুসারে জমিদার ও তালুকদারেরা নিজেদের এলাকায় থানা স্থাপন করবেন। প্রজাদের অপকর্মের জন্য তাদের দায়ী করা হবে এবং চুরি ডাকাতি সংঘটিত হলে তাদের ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে। শান্তি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হলে সংশি¬ষ্ট এলাকার জমিদার বা তালুকদারদের মৃত্যুদন্ড দেয়া হবে। এর ফলে জমিদাররা শঙ্কিত হয়ে পড়েন। যশোর ভূ-খন্ডে ৪টির স্থলে ১৩টি থঅনা স্থাপিত হয়। তারমধ্যেখুলনার নয়াবাদ ও যশোরের ঝিনাইদহ থানা সরকারের কর্তৃত্বে রাখাহয়। কিন্তু এত কড়াকড়ি সত্বেও চুরি ডাকাতি বাড়তে লাগলো এবং এ সবের বিরুদ্ধে কোন শাস্তির ব্যবস্থা করা হলো না। কাজেই কোম্পানীর এই ব্যবস্থা কিছুদিন পরে পন্ডু হয়ে গেল।
১৭৮৬ খ্রিঃ যশোরকে একটি পৃথক জেলায় পরিণত করা হয়। এটিই হচ্ছে বাংলার প্রথম জেলা এবং হ্যাংকেল সাহেব হন এর প্রথম কালেক্টর। এই জেলা গঠিত হয়েছিল ইশপপুর, সৈয়দপুর এবং চাঁচড়া রাজ্য নিয়ে। ১৭৮৭ সনে মামুদশঅহী পরগণা এর সাথে যুক্ত হয়। ১৮৯৩ সনে নলদীসহ ভূষণাকে যশোরের অর্ন্তভুক্ত করা হয়। ১৮৪৫ সনে মাগুরা মহকুমা স্থাপিত হয়। ১৭৯৩ খ্রিঃ ঝিনাইদহে শান্তি রক্ষার জন্য একটি থানা স্থাপন করা হয়। ১৮৬১ খ্রিঃ নড়াইল মহকুমার সৃষ্টি হয়। ১৭৮৯ খ্রিঃ হ্যাংকেল সাহেব বদলী হয়ে গেলে তার স্থলাভিষিক্ত হন রিচার্ড রোক। তিনি জেলার সদর দফতর মুরলী থেকে সাহেবগঞ্জে স্থানান্তরিত করেন। তার সময় ১৭৯৩ খ্রিঃ যশোর লর্ড কর্ণওয়ালীশের চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তিত হয়। যশোরে তখন ১০৩টি পরগণা ছিল এবং এগুলির রাজস্ব আদায় হয়েছিল ১১,২৩,৫১৭ টাকা। তবে লর্ড কর্ণওয়ালীসের চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত শুভ ফল দিতে পারেনি। তাই অচিরেই এর মৃত্যু ঘটে।
হ্যাংকেল সাহেবের প্রশাসন আমল এ অঞ্চলে সুদুরপ্রসারী প্রভাব বিস্তার করে। পূর্বে সমগ্র যশোর অঞ্চলে ৪টি থানা ছিল। যথা- ভূষণা, মীর্জানগর, ধরমপুর এবং খুলানায় নয়াবাদ অঞ্চলে। হ্যাংকেল ম্যাজিষ্ট্রেট হয়ে এসেই প্রত্যেক থানায় দেশী বরকন্দাজ না রেখে বিদেশী সিপাই রাখার প্রস্তাব করেন। সে প্রস্তাব মঞ্জুর হলে মুরলীতে ৪০ জন মীর্জানগর এবং ভূষণায় ৩০ জন এবং ধরমপুরে ৪ জন বিদেশী সিপাই নিয়োগ করা হয়। খুলনার নয়াবাদে কোন বিদেশী সিপাই নিয়োগ করা হলো না। সেখানকার লোক দ্বারাই থানার কার্য চালানো হতো।
কিন্তু এই প্রথা কোম্পানীর নিকট ব্যববহুল মনে হওয়ায় পরবর্তী বৎসর ১৭৮২ সনে এটি বিলোপ করে নতুন ইস্তেহার জারী করা হয়। এতে বলা হয় চুরি ডাকাতি প্রতিরোধের জন্য ম্যাজিষ্ট্রেটের নির্দেশানানুসারে জমিদার ও তালুকদারেরা নিজেদের এলাকায় থানা স্থাপন করবেন। প্রজাদের অপকর্মের জন্য তাদের দায়ী করা হবে এবং চুরি ডাকাতি সংঘটিত হলে তাদের ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে। শান্তি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হলে সংশি¬ষ্ট এলাকার জমিদার বা তালুকদারদের মৃত্যুদন্ড দেয়া হবে। এর ফলে জমিদাররা শঙ্কিত হয়ে পড়েন। যশোর ভূ-খন্ডে ৪টির স্থলে ১৩টি থঅনা স্থাপিত হয়। তারমধ্যেখুলনার নয়াবাদ ও যশোরের ঝিনাইদহ থানা সরকারের কর্তৃত্বে রাখাহয়। কিন্তু এত কড়াকড়ি সত্বেও চুরি ডাকাতি বাড়তে লাগলো এবং এ সবের বিরুদ্ধে কোন শাস্তির ব্যবস্থা করা হলো না। কাজেই কোম্পানীর এই ব্যবস্থা কিছুদিন পরে পন্ডু হয়ে গেল।
১৭৮৬ খ্রিঃ যশোরকে একটি পৃথক জেলায় পরিণত করা হয়। এটিই হচ্ছে বাংলার প্রথম জেলা এবং হ্যাংকেল সাহেব হন এর প্রথম কালেক্টর। এই জেলা গঠিত হয়েছিল ইশপপুর, সৈয়দপুর এবং চাঁচড়া রাজ্য নিয়ে। ১৭৮৭ সনে মামুদশঅহী পরগণা এর সাথে যুক্ত হয়। ১৮৯৩ সনে নলদীসহ ভূষণাকে যশোরের অর্ন্তভুক্ত করা হয়। ১৮৪৫ সনে মাগুরা মহকুমা স্থাপিত হয়। ১৭৯৩ খ্রিঃ ঝিনাইদহে শান্তি রক্ষার জন্য একটি থানা স্থাপন করা হয়। ১৮৬১ খ্রিঃ নড়াইল মহকুমার সৃষ্টি হয়। ১৭৮৯ খ্রিঃ হ্যাংকেল সাহেব বদলী হয়ে গেলে তার স্থলাভিষিক্ত হন রিচার্ড রোক। তিনি জেলার সদর দফতর মুরলী থেকে সাহেবগঞ্জে স্থানান্তরিত করেন। তার সময় ১৭৯৩ খ্রিঃ যশোর লর্ড কর্ণওয়ালীশের চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তিত হয়। যশোরে তখন ১০৩টি পরগণা ছিল এবং এগুলির রাজস্ব আদায় হয়েছিল ১১,২৩,৫১৭ টাকা। তবে লর্ড কর্ণওয়ালীসের চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত শুভ ফল দিতে পারেনি। তাই অচিরেই এর মৃত্যু ঘটে।