
Home ভাষা ও সংস্কৃতি (Language and Culture) > মাগুরায় শুরু হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী কাত্যায়নী পূজা
এই পৃষ্ঠাটি মোট 86894 বার পড়া হয়েছে
মাগুরায় শুরু হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী কাত্যায়নী পূজা
মাগুরার ঐতিহ্যবাহী কাত্যায়নী পূজা ব্যাপক আয়োজনের মধ্য দিয়ে সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে । ষষ্ঠিপূজার মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এ পূজা দশমী পূজার মাধ্যমে শেষ হবে আগামী শুক্রবার। পূজা উপলক্ষে আয়োজিত মেলা চলবে এক মাস। দেশ বিদেশের লাখো দর্শকের কথা মথায় রেখে আয়োজকরা এখন শেষ সময়ে ব্যাস্ত সময় কাটাচ্ছেন মন্ডপগুলোর সাজ সজ্জার কাজে।
দীর্ঘ ৬০ বছর ধরে মাগুরা জেলায় দূর্গ পূজার এক মাস পরে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে কাত্যায়নী পূজা। দেবী দূর্গার আদলে কাত্যায়নী দেবীর মূর্তী স্থাপন করে ৫ দিন ধরে হিন্দুধর্মাবলম্বীরা ধর্মীয় ভাব গাম্ভির্যের মধ্য দিয়ে এ পূজা করে আসলেও এ পূজা উপলক্ষে আয়োজিত উৎসবে অংশ নিয়ে থাকে সকল ধর্ম বর্ণের লোকেরা। যে কারণে কাত্যায়নী পূজা মাগুরা জেলার সাম্পদায়িক সম্প্রতির এক অন্যন্য দৃষ্টান্ত।
এ বছর শহরের ৮ টি মন্ডপসহ জেলায় মোট ৬৩টি মন্দিরে কাত্যায়নী পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শহরের প্রতিটি পূজা মন্ডপকে ঘিরে তৈরি হয়েছে দৃষ্টি নন্দন গেট, প্যান্ডেল, তোরণ। অধুনিক লাইটিংয়ের মধ্যমে সাজানো হয়েছে পূজা মন্ডপগুলো। লাইটিংয়ের মাধ্যমে ব্যবস্থা করা হয়েছে নানা রকম ডিসপ্লের। প্রতিটি মন্দিরেই স্থাপন করা হয়েছে নয়নাভিরাম সব প্রতিমা। শহরের নান্দুয়ালী, জামরুলতলা, সাতদোহাপাড়া, নতুন বাজার, বাটিকাডাঙ্গা, পারনান্দুয়ালী, সাজিয়াড়া পূজামন্ডপগুলো ঘুরে দেখা গেছে, দিন রাত ধরে প্রতিটি মন্ডপে শেষ সময়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ডেকোরেটর কর্মী, লাইটম্যান, চিত্র শিল্পীসহ আয়োজকরা। শহরের জামরুলতলা পূজা মন্ডপের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ কুন্ডু ও নান্দুয়ালী পূজা কমিটির সম্পাদক জয়ন্ত কুমার রুদ্র জানান- প্রতি বছর কাত্যায়নী পূজা দেখতে সারাদেশের পাশাপাশি নেপাল ও ভারত থেকে লাখ লাখ দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে। এটি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পূজা হলেও উৎসবে মিলিত হয় সকল ধর্মের মানুষ। এসব দর্শনার্থীদের কথা মাথায় রেখে এ বছর আমরা আয়োজনের ভিন্নতা রেখেছি। লাইটিংয়ে পাশাপাশি মন্ডপগুলোতে নির্মিত প্রতিমা ও লাইটের কারুকার্যের মাধ্যমে দেখানো হবে দেব দেবতাদের বিভিন্ন রকম ডিসপ্লে। যা দেখে দর্শনার্থীরা এবার বাড়তি আনন্দ উপভোগ করতে পারবে।
এদিকে কাত্যায়নী পূজা উপলক্ষে আয়োজিত মাসব্যাপী মেলায় অংশ নেয়ার জন্য দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসতে শুরু করেছেন দোকানীরা। পূজা চলাকালীন সময় জেলার আইন শৃংঙ্খলা রক্ষার্থে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে বিশেষ সভা করে নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির জানান- পূজা মন্ডপগুলোর নিরাপত্তার জন্য পুলিশ, আনসার ও স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে একাধিক টিম। এছাড়া সাদা পোশাকধারী পুলিশ, র্যাবের পাশাপাশি পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে দায়িত্ব পালন করবে একাধিক ভ্রাম্যমান টিম।
সূত্রঃ যশোর নিউজ ২৪
তারিখঃ ১৯/১১/১২ ইং
দীর্ঘ ৬০ বছর ধরে মাগুরা জেলায় দূর্গ পূজার এক মাস পরে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে কাত্যায়নী পূজা। দেবী দূর্গার আদলে কাত্যায়নী দেবীর মূর্তী স্থাপন করে ৫ দিন ধরে হিন্দুধর্মাবলম্বীরা ধর্মীয় ভাব গাম্ভির্যের মধ্য দিয়ে এ পূজা করে আসলেও এ পূজা উপলক্ষে আয়োজিত উৎসবে অংশ নিয়ে থাকে সকল ধর্ম বর্ণের লোকেরা। যে কারণে কাত্যায়নী পূজা মাগুরা জেলার সাম্পদায়িক সম্প্রতির এক অন্যন্য দৃষ্টান্ত।
এ বছর শহরের ৮ টি মন্ডপসহ জেলায় মোট ৬৩টি মন্দিরে কাত্যায়নী পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শহরের প্রতিটি পূজা মন্ডপকে ঘিরে তৈরি হয়েছে দৃষ্টি নন্দন গেট, প্যান্ডেল, তোরণ। অধুনিক লাইটিংয়ের মধ্যমে সাজানো হয়েছে পূজা মন্ডপগুলো। লাইটিংয়ের মাধ্যমে ব্যবস্থা করা হয়েছে নানা রকম ডিসপ্লের। প্রতিটি মন্দিরেই স্থাপন করা হয়েছে নয়নাভিরাম সব প্রতিমা। শহরের নান্দুয়ালী, জামরুলতলা, সাতদোহাপাড়া, নতুন বাজার, বাটিকাডাঙ্গা, পারনান্দুয়ালী, সাজিয়াড়া পূজামন্ডপগুলো ঘুরে দেখা গেছে, দিন রাত ধরে প্রতিটি মন্ডপে শেষ সময়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ডেকোরেটর কর্মী, লাইটম্যান, চিত্র শিল্পীসহ আয়োজকরা। শহরের জামরুলতলা পূজা মন্ডপের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ কুন্ডু ও নান্দুয়ালী পূজা কমিটির সম্পাদক জয়ন্ত কুমার রুদ্র জানান- প্রতি বছর কাত্যায়নী পূজা দেখতে সারাদেশের পাশাপাশি নেপাল ও ভারত থেকে লাখ লাখ দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে। এটি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পূজা হলেও উৎসবে মিলিত হয় সকল ধর্মের মানুষ। এসব দর্শনার্থীদের কথা মাথায় রেখে এ বছর আমরা আয়োজনের ভিন্নতা রেখেছি। লাইটিংয়ে পাশাপাশি মন্ডপগুলোতে নির্মিত প্রতিমা ও লাইটের কারুকার্যের মাধ্যমে দেখানো হবে দেব দেবতাদের বিভিন্ন রকম ডিসপ্লে। যা দেখে দর্শনার্থীরা এবার বাড়তি আনন্দ উপভোগ করতে পারবে।
এদিকে কাত্যায়নী পূজা উপলক্ষে আয়োজিত মাসব্যাপী মেলায় অংশ নেয়ার জন্য দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসতে শুরু করেছেন দোকানীরা। পূজা চলাকালীন সময় জেলার আইন শৃংঙ্খলা রক্ষার্থে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে বিশেষ সভা করে নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির জানান- পূজা মন্ডপগুলোর নিরাপত্তার জন্য পুলিশ, আনসার ও স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে একাধিক টিম। এছাড়া সাদা পোশাকধারী পুলিশ, র্যাবের পাশাপাশি পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে দায়িত্ব পালন করবে একাধিক ভ্রাম্যমান টিম।
সূত্রঃ যশোর নিউজ ২৪
তারিখঃ ১৯/১১/১২ ইং