
Home নড়াইল জেলা / Narail District > কবি সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব / Poet, literary and cultural personalities
এই পৃষ্ঠাটি মোট 86868 বার পড়া হয়েছে
কবি সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব / Poet, literary and cultural personalities
নিহাররঞ্জন গুপ্ত :
লোহাগড়া উপজেলার ইতনা গ্রামে ১৯১১ সালের ৬ জুন জন্ম। ঔপনাস্যিক নাট্যকার ও চলচ্চিত্র কাহিনীকার। তাঁর চল্লিশটিরও বেশি উপন্যাস চলচ্চিত্রে রূপায়ণ হয়েছে। তাঁর উপন্যাসের সংখ্যা দুই শতাধিক। তাঁর কয়েকটি নাটক ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। নীহারঞ্জন গুপ্তের রাত্রি শেষ, চৌধুরী বাড়ি, উল্কা নাটক সে সময়ে প্রচন্ড জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। চল্লিশের দশকের দিকে রাত্রিশেষ রচিত হয়, সে যুগে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের ভূমিকায়। “চৌধুরী বাড়ী” উপন্যাসের পরবর্তীতে নাট্যরূপে প্রকাশ পায়। তার গ্রন্থের মধ্যে “অস্তি ভাগীরথী তীরে”, মধুমতি, রাতের গাড়ী, উল্কা, প্রদীপ, কাগজের ফুলসহ শতাধিক গ্রন্থ রয়েছে। তাঁর পিতার নাম ছিল সত্যরঞ্জন গুপ্ত। ১৯৩০ সালে ম্যাট্রিক ও পরবর্তীকালে কৃষ্ণনগর কলেজ থেকে আই.এস.সি পাশ করেন। এরপর মেডিকেল কলেজ থেকে ডাক্তারী পাশ করে ১৯৪২ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সামরিক বাহিনীতে ডাক্তার হিসাবে যোগদান করেন। কিছুদিন চাকরি করার পর চাকরি ছেড়ে তিনি স্বাধীনভাবে চিকিৎসা পেশায় মনোনিবেশ করেন। অল্পদিনের মধ্যে তিনি চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে কলিকাতায় খ্যাতি অর্জন করেন। তাঁর লেখা “লালু বুলু” চলচ্চিত্রের শুভ মহরত অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে ১৯৮২ সালে তিনি ঢাকায় এসেছিলেন। সে সময় তিনি দৈনিক দেশ পত্রিকার চীপ-রিপোর্টার সৈয়দ জাফরের সাথে এক দীর্ঘ সাক্ষাতকার দিয়েছিলেন। সেই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন আমি শীঘ্রই আমার ছোটবেলার ঘর দেখতে যাব। সে আশা তাঁর পূরণ হয় নি। ১৯৮৬ সালের ২০ জানুয়ারী কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন। নড়াইল জেলার মানুষ প্রখ্যাত এই উপন্যাসিককে ভুলতে বসেছিল। লোহাগড়ার ত্রি-পল্লী সমাজসেবা সংস্থা নামে একটি সংগঠন এই উপন্যাসিকের স্মৃতিরক্ষার্থে ১৯৮৮ ও ১৯৮৯ সালে কয়েকজন গুনীজনকে নীহার রঞ্জন গুপ্ত স্মৃতি পদক প্রবর্তন করে পদক দিয়েছে।
মোসলেমউদ্দিনঃ
জারী সম্রাট হিসাবে খ্যাত চারণ কবি মোছলেম উদ্দিনের জন্ম ১৯০৪ সালে নড়াইল জেলার সদর উপজেলার তারাপুর গ্রামে। পিতার নাম মরহুম আব্দুল ওয়াহেদ মোল্যা। মোছলেম উদ্দিন কয়েকশত গান নিজেই রচনা করে তা গ্রামে আধ্যাত্মিক গানের আসরে পরিবেশন করতেন।
১৯৩৬ সালে তিনি নিজেই জারীগানের দল গঠন করেন। এই জারীগানের দল গঠন সম্পর্কে বয়াতি বলেছিলেন- আধ্যাত্মিক ভাব গান মিশ্রিত জারীর মাধ্যমে ইসলামের মর্মবানী গ্রামবাংলার অশিক্ষিত ও অর্ধশিক্ষিত মুসলমানদের মর্মমূলে পৌঁছে দেয়া সম্ভব। মুসলিম সমাজকে ইসলামী তৌহিদী চেতনায় উদ্দীপ্ত করাই ছিল তার জারী গানের প্রতি আকৃষ্ট হবার কারণ। একটি ঘটনা মোছলেম উদ্দীনের জীবনের উল্লেখযোগ্য সেটা হচ্ছে তার জারীগানের দলের সহযোগী ঢুলী (ঢোলক বাদক) গানের মঞ্চে হটাৎ গানের তাল কেটে ফেলেন। গানের ভাবে বিহ্বলিত করি কান্ডজ্ঞানশূন্য হয়ে ঢুলির পিঠে হাত দিয়ে ঘুষি মারেন। ভাগ্যের পরিহাস আঘাতটি মারাত্মক ভাবে ঢুলির তলপেটে লাগে। অসুস্থ ঢুলী কিছুক্ষণ পর মারা যায়। এই ঘটনায় গায়ক মোছলেম উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলায় শেষ পর্যন্ত মোছলেম উদ্দিনের ফাঁসির হুকুম হয়। কিন্তু সারা দেশের ভক্তদের নিকট এ খবর পৌঁছে যাবার সাথে সাথে ভক্তবৃন্দের সম্মিলিত আবেদনক্রমে তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানের গভর্নর এ শর্তে তার ফাঁসি মওকুফের আবেদন মঞ্জুরের আশ্বাস প্রদান করেন যে, যদি ঐ গায়ক যশোরসহ দেশের ৭টি জেলায় গান গেয়ে যদি শ্রোতাদের ছোখে পানি এনে দিতে পারে তবে এই ফাঁসীর হুকুম প্রত্যাহার করে সাধারণ ক্ষমা করে দেওয়া হবে। এই খবর গায়ক মোছলেম উদ্দিনের নিকট পৌঁছানের কয়েকদিনের মধ্যে ঢোলক বাদক হত্যার করুণ কাহিনী গানের সুরে তুলে নিয়ে আসলেন। সাতটি জেলায় জারী গানের আসরে তা পরিবেশন করলেন এবং বেশির ভাগ শ্রোতা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এই গানের আসর অনুষ্ঠিত হয়েছিল যশোর টাউন হল ময়দানে। এ অনুষ্ঠানে জারী গায়ক মোছলেমউদ্দিনের প্রতিপক্ষ ছিলেন পাবনার জারী গায়িকা জরিনা। তৎকালীন যশোরের জেলা প্রশাসক জনাব রুহুল কুদ্দুস স্বস্ত্রীক এ গানের আসরে উপস্থিত ছিলেন। আসরে সমস্ত শ্রোতা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ার ঘটনা তিনি পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নরের নিকট এই ঘটনার বর্ণনা দিয়ে প্রতিবেদন পাঠান এবং পরবর্তীতে মোছলেম উদ্দিন ফাঁসি থেকে সাধারণ ক্ষমা পেয়ে মুক্তি পান। ১৯৯০ সালের ২৯ আগস্ট নিজ গ্রামে ইন্তেকাল করেন। তার পুত্র রওশন আলী মির্জাপুর কলেজের অধ্যক্ষ পদে কর্মরত আছেন। তিনিও জারী গানে পিতার একজন সুযোগ্য উত্তরসূরী।
উদয় শংকরঃ
১৯৩০ সালে ভারতে জন্ম। তার পৈত্রিক বাড়ী নড়াইল জেলার কালিয়ায়। তার পিতা ছিলেন একজন ব্যারিস্টার। বিশ্ববিখ্যাত নৃত্য শিল্পী উদয় শংকর ১৯৭৯ সালে পরলোক গমন করেন।
রবি শংকর :
বিখ্যাত নৃত্যশিল্পী উদয় শংকরের ছোট ভাই রবি শংকরও একজন বিশ্বনন্দিত সেতার বাদক। বর্তমান কালিয়া সদরে জেলা পরিষদের ডাকবাংলাটি রবিশংকর ও উদয়শংকরের পৈত্রিক বাড়ী।
সাধক কবি তারক চাঁদ গোসাই :
লোহাগড়া উপজেলায় জয়পুরে জন্মগ্রহণ করেন। বাংলার লোক, ঐতিহ্য ও লোকসংস্কৃতির জনপ্রিয় কবিগানের স্রষ্টা তারক চাঁদ। সমবেত ভক্তদের সামনে উপস্থিত হয়ে ‘ধর্মীয় বানী’ সুমধুর সুরে গেয়ে শোনাতেন এই সাধক কবি। মুখে মুখে প্রচারিত এই কবিগান সময়ের বিবর্তনে আজ এই দেশের সীমানা পেরিয়ে ভক্তদের মাধ্যমে পশ্চিম বাংলায়ও জনপ্রিয় হয়েছে। লোহাগড়া উপজেলার জয়পুর গ্রামের এক তফশীলি পরিবারে তারক চাঁদের জন্ম। বাল্যকাল থেকেই তিনি সত্যবাদী ছিলেন এবং সংগীতের মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তার গুনকীর্তন করতেন বলে লোকে তাকে ‘গোসাই’ বলতেন। এখনো তাঁর নিজ বাড়ীটি ‘গোসাইবাড়ী’ বলে পরিচিত। এখানে প্রতিবছর কবির জন্ম ও মৃত্যু দিবস ফাল্গুন মাসে তার স্মরণে জমজমাট উৎসব হয়।
ফেরদৌস খাঁন :
তরুন লেখক। ১৯৭৩ সালে মহান ভাষা আন্দোলনের মাস ফেব্রুয়ারীর প্রথম দিকে নড়াইল জেলার প্রসিদ্ধ মুসলিম গ্রাম আমাদায় জন্মগ্রহণ করেন। স্কুল ও কলেজ জীবনে লেখাপড়ার সময় থেকে তিনি নিয়মিত সাহিত্যচর্চা করেন। তার বিভিন্ন কবিতা ও গল্প ও উপন্যাস বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে নিয়মিত প্রকাশিত হয়। এ পর্যন্ত তার ৬টি বই প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আমার দিন কি এমনি যাবে বইয়া, শ্রাবনী, অনেক দিনের ভালবাসা, হাদি মামা, স্বামী বিবেকানন্দ, সুর্যসেন, ওস্তাদ আলাউদ্দিন খান, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম, লালন শাহ। এছাড়া নড়াইলের পিকটিক স্পট নিয়ে একটি ডকুমেন্টারী গ্রন্থ প্রকাশ করেছেন। ঢাকাস্থ নড়াইল ফাউন্ডেশনের সম্পাদক। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে ফিচার, গল্প ও কবিতা নিয়মিত লেখালেখি করেন।
মোঃ হাসেম মোল্যা :
কালিয়া থানার ইসলামপুর গ্রামে জন্ম। তিনি ছিলেন স্বভাব কবি। লেখাপড়া তেমন জানতেন না। কিন্তু ইংরেজী বলতে পারতেন। তার সম্পর্কে ব্যতিক্রম একটি ঘটনা জনশ্রুতি আছে। একদিন তিনি নদীর খেয়া ঘাটে লোকজনের সঙ্গে মজা করার জন্য একটি সাদা কাগজ নিয়ে ছরবেছর ইংরেজী পড়ে যাচ্ছেন আর লোকজন খুব মজা পাচ্ছে। এমন সময় বৃটিশ সরকারের পুলিশ সেখানে হাজির হলে তিনিও কৌতুহল বশে এগিয়ে যান। দেখেন লোকটি একটি সাদা কাগজ ধরে ইংরেজি পড়ছে। পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায় এবং ছয় মাসের জেল হয়। তিনি যে কোন কথাকে ছন্দের আকারে মিলিয়ে দিতে পারতেন।
মুন্সী আজমতুল্লাহ :
নড়াইল সদর উপজেলার মুসলিম ঐতিহ্যবাহী গ্রাম কামালপ্রতাপ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি অনেক ভাষায় সুপন্ডিত ছিলেন। ফরাসী ভাষায় তার ছিল অসাধারণ পান্ডিত্য। তিনি ইংরেজ গভর্নর জেনারেল লর্ড ওয়ানে হেস্টিংসের প্রাইভেট সেক্রেটারী ও পরবর্তীতে জেলা জজ ছিলেন। বৃটিশ ভারত থেকে এখন পর্যন্ত একটি প্রবাদ আছে যশোর অঞ্চল কবি, সাহিত্যিক ও সাংবাদিকদের জন্মস্থান। তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যায় যশোর অঞ্চল বাংলা সাহিত্যের খ্যাতিমান সাহিত্যিকদের আদিবাস। এর মধ্যে অনেকের জন্মভূমি বা পিতৃভূমি নড়াইল জেলায়।
রাধারমন সাহা :
জেলার লোহগড়ায়া জন্ম। দীর্ঘদিন শিক্ষকতা পেশার সাথে জড়িত ছিলেন। প্রথম জীবনে ইত্তেফাকের স্থানীয় সংবাদদাতা ছিলেন। একজন সুলেখক ও সাহিত্যিক। তার ভাই ধীরাজ মোহন সাহা আমেরিকার নিউইয়র্কের বিখ্যাত ডাক্তার। ধীরাজ মোহন সাহা ছিলেন একজন মেধাবী ছাত্র। লোহাগড়া পাইলট হাইস্কুল থেকে কৃতিত্বের সাথে ম্যাট্রিক পাশ করেন।
আসাদুজ্জামান আসাদ :
জেলার মুলদাইড় গ্রামের অধিবাসী। ছোটবেলা থেকে বেড়ে উঠেছেন লোহাগড়ার তালবাড়িয়া গ্রামে। একজন বিশিষ্ট কবি। তার বহু বই প্রকাশিত হয়েছে। উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে, মুক্তিবাহিনী ও মিত্র বাহিনী, যশোরের ইতিহাস, তেভাগা আন্দোলন প্রভৃতি।
মুহাম্মদ হানিফ কাজী :
চারণ কবি হিসাবে খ্যাত মুহাম্মদ হানিফ কাজী জেলার মহাজন গ্রামে বসতি স্থাপন করেন। তার বহু ছড়া কবিতা সুখ্য পাঠ্য। তিনি গরীব এবং পঙ্গু ছিলেন। তিনি সরকারী সাহায্য পেতেন তবে পরে বাকশক্তি হারানো অবস্থায় দীন দশায় পতিত হয়। তার রচনা প্রকাশের কোন তথ্য পাওয়া যায় নি।
খন্দকার নজরুল ইসলাম :
বাড়ী লোহাগড়ায়। দীর্ঘদিন শিক্ষকতার সাথে যুক্ত ছিলেন। একজন লেখক ও সাহিত্যিক। লোহাগড়া পাবলিক লাইব্রেরীর সাথে দীর্ঘদিন জড়িত ছিলেন। তার পুত্র খন্দকার বখতিয়ার সেলিম (টিপু) লোহাগড়া রামনারায়ণ পাবলিক লাইব্রেরীর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ছিলেন। ৯০ দশকের প্রথম দিকে খন্দকার নজরুল ইসলাম ইন্তেকাল করেন।
নাজিম মাহমুদ :
টোনা গ্রামে জন্ম। স্বনামধন্য আঃ হাকিম সাহেবের পুত্র। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্টার। তিনি তরুন সাহিত্যিকদের নিয়ে ‘সন্দীপন’ নামে সংস্কৃতিক সংস্থা গড়ে তোলেন। বহু গান কবিতা রচনা করেছেন। তার রচিত গান স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে বিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করে। ১৯৯৯ সালে তিনি পরলোক গমন করেন।
সৈয়দ আকরাম আলী (আখিদুল):
১৯৬৩ সালে লোহাগড়ায় জন্ম। কিছুকাল সাংবাদিকতা পেশার সাথে জড়িত ছিলেন। রামনারায়ণ পাবলিক লাইব্রেরীর দু’বার নির্বাচিত সম্পাদক। ২০০০ সালের শেষের দিকে চাকরির সন্ধানে দক্ষিণ কোরিয়া গিয়েছেন।
মজিবর রহমানঃ
মজিবর রহমান কালিয়া উপজেলার জামরিল ডাঙ্গা গ্রামের অধিবাসী। তিনি বহু সুশ্রাব্য ছোট গল্প লিখেছেন। তার প্রকাশিত ছোট গল্প সংকলন “নিষ্পেষিত পুষ্পের হাসি”, “চড়ুইভাতি” বাংলাদেশ টেলিভিশনে চিত্রায়িত হয়েছে।
কবি আজহার উদ্দিনঃ
লোহাগড়া উপজেলার আমডাঙ্গা গ্রামে জন্ম। বর্তমান যশোর শহরে বাস করেন। দীর্ঘদিন শিক্ষকতা পেশার সাথে জড়িত ছিলেন। বেশ কয়েকটি গ্রন্থের লেখক। তার পুত্র মাহবুবুল আলম টেলিভিশনের বিশিষ্ট সাংবাদিক। জনাব মাহবুবুল আলম ৮০ দশকের প্রথম দিকে সাংবাদিকতায় এমএ পাশ করে বাংলাদেশ টেলিভিশনে যোগদান করেন। তিনি বিশ্বের বহু দেশ সফর করেছেন।
কবি সৈয়দ আবুল কাসেম কবিরত্নঃ
গোবরা গ্রামের অধিবাসী। অনেকগুলি কাব্য গ্রন্থ পাঠ্য পুস্তকের প্রণেতা। বৃদ্ধ বয়সেও তিনি তার কাব্যচর্চা অব্যাহত রাখেন।
কবি বাছের সিকদারঃ
পৌর এলাকার বাহির ডাঙ্গা গ্রামে অধিবাসী। তার রচিত কয়েক হাজার উন্নতমানের কবিতা আছে। দুইটি কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।
বাঙ্গাল আবু সাঈদঃ
বাঙ্গাল আবু সাঈদ পীরোলিস্তান গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। চাকরি শেষে সমাজ উন্নয়নের লক্ষ্যে লেখনির কাজে মন দেন। তাঁর প্রকাশিত কিছু গ্রন্থের সন্ধান পাওয়া যায়।
অরুণ গাঙ্গুলিঃ
জেলার ইতনা গ্রামে বর্ধিষ্ণু হিন্দু পরিবারে জন্ম। একজন তরুন ঔপন্যাসিক। তার কয়েকটি উপন্যাস গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।
হাবিবুর রহমানঃ
একজন লেখক ও কবি। জেলার মিঠাপুরে জন্ম। বর্তমানে নড়াইলে বাস করেন। কিছুদিন শিক্ষকতা ও পরবর্তিতে সাব রেজিষ্ট্রার পদে কর্মরত ছিলেন।
মোল্যা রকিবুজ্জামান রকিবঃ
লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুরে জন্ম। একজন বিশিষ্ট কণ্ঠ শিল্পী। বর্তমানে একটি বেসরকারী সংস্থায় কর্মরত আছেন।
মীনা রাজীব আহমদঃ
বাড়ী ইতনা গ্রামে। কণ্ঠশিল্পী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। ঠাকুর-কাজী সংগীত একাডেমীর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।
মাওলানা দেরাজবুল্লাহঃ
কালিয়া উপজেলার বল্লারটোপ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ফরাসী ভাষায় তার রচিত “মসনবী-ই-দারসাত” একখানি বিখ্যাত গ্রন্থ। কলিকাতায় আলিয়া মাদ্রাসার “টাইটেল” শ্রেণীতে পাঠ্য তালিকা ভূক্ত ছিল।
গাজী আলমগীরঃ
নড়াইলের অধিবাসী। একজন তরুন কবি ও ঔপন্যাসিক। তার বেশ কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে স্বপ্ন নয় চাঁদের বাঁধ ভেঙ্গেছে প্রভৃতি।
ওয়াহিদুর রহমানঃ
লোহাগড়ার কলেজ পাড়ার সন্তান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শেষ করে বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় ফিচার গল্প কবিতা নিয়মিত লেখেন।
কালিপ্রসন্ন সিংহঃ
লোহাগড়ার কলাগাছি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন নাট্যকার।
দূর্গা চরণ চট্টপাধ্যায়ঃ
লোহাগড়ার কাশীপুর গ্রামে জন্ম। তিনি একজন লেখক।
সৈয়দ নজরুল ইসলামঃ
পাচুড়িয়া গ্রামে জন্ম। ১৯৭৩ সাল থেকে কবি হিসেবে সরকারী ভাতা পাচ্ছেন। দুইটি বইয়ের লেখক।
নগেন শীলঃ
তিনি লোহাগড়ার ঝিকড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন কণ্ঠশিল্পী।
নারায়ণ চন্দ্র বিশ্বাসঃ
একজন গীতিকার, চিত্র শিল্পী। জেলার ইতনা গ্রামে বাড়ি। স্থানীয় বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করেন। তার শতাধিক চিত্রকর্ম রয়েছে। ইতনা শিশু স্বর্গ ও নিহার রঞ্জনগুপ্ত স্মৃতি পরিষদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।
মোঃ গোলাম রসুল সিকদারঃ
তিনি লোহাগড়ার চাচই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি গীতিকার।
লুৎফর রহমান খানঃ
লোহাগড়া উপজেলার শেখপাড়ার বাতাসি গ্রামে জন্ম। তিনি একজন কবি।
মিসেস হালিমা জামালঃ
তার বাড়ি লোহাগড়া উপজেলার লক্ষ্মীপাশা গ্রামে। তিনি একজন কবি।
মোঃ মোসলেম উদ্দিনঃ
লোহাগড়ার গিলাতলা গ্রামে বাড়ি। তিনি একজন কবি হিসাবে পরিচিত।
মিসেস মাসুদা ওয়াদুদঃ
লক্ষ্মীপাশায় বাড়ি। কবি হিসাবে তার পরিচিতি আছে।
মোঃ সিদ্দিকুর রহমানঃ
লোহাগড়ায় জন্ম। তিনি একজন কণ্ঠশিল্পী ও একটি বেসরকারী প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক।
কাংগাল ছামসুর রহমানঃ
নলদী ইউনিয়নের মঠবাড়িয়া গ্রামে বাড়ি। একজন কবি। তার তিনটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।
জহীর ঠাকুরঃ
লক্ষীপাশায় বাড়ি। তিনি একজন বিশিষ্ট নাট্যকার।
বেগম রোকেয়া ইয়াসমীনঃ
জয়পুর নিবাসী একজন লেখক।
আশীষ কুমার চক্রবর্তীঃ
১৯৭৩ সালে লোহাগড়ায় জন্ম। তিনি যাত্রা নাটকের অভিনেতা।
আল-ফয়সাল খানঃ
জেলার আমাদা গ্রামে ১৯৭৮ সালে জন্ম। স্কুল ও কলেজ জীবন থেকে সাহিত্যচর্চা করে আসছে। একজন তরুন লেখক। সম্প্রতি তার দুটি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে।
সরদার গোলাম মোস্তফাঃ
লোহাগড়ার সন্তান। শিক্ষকতা পেশার সাথে জড়িত। একজন গীতিকার ও কণ্ঠশিল্পী। তার বেশ কিছু গান রেডিও ও টেলিভিশনে প্রচারিত হয়েছে। নড়াইল ও লোহাগড়া সাহিত্য পরিষদের সাথে জড়িত।
মোঃ ফরহাদ খানঃ
জেলার প্রসিদ্ধ আমাদা গ্রামে জন্ম। বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে বহু গল্প ও কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমানে তার একটি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে।
সৈয়দ হাসমত আলীঃ
জেলার কুমড়ি গ্রামে জন্ম। একটি ব্যাংকে কর্মরত। একজন বিশিষ্ঠ গীতিকার। নড়াইল সাহিত্য পরিষদে দীর্ঘদিন জড়িত ছিলেন।
শেখ আব্দুস ছালামঃ
জেলার লোহাগড়া উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামে জন্ম। বর্তমান যশোর শহরে বাস করেন। একজন গীতিকার। তার দু’টি গ্রন্থ ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে।
কবি বিপিন সরকারঃ
নড়াইলে জন্ম। একজন বিশিষ্ট চারণ কবি। তার বহু গান ও কবিতা বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে।
Poet, literary and cultural personalities
তথ্য সূত্র :
নড়াইল জেলার অতীত ও বর্তমান
লেখক : আকরামুজ্জামান মিলু
সম্পাদনা :
মো: হাসানূজ্জামান বিপুল