
Home নড়াইল জেলা / Narail District > নড়াইল জেলা ক্রীড়া সংস্থা / Sports Associations of Narail District
এই পৃষ্ঠাটি মোট 86843 বার পড়া হয়েছে
নড়াইল জেলা ক্রীড়া সংস্থা / Sports Associations of Narail District
নড়াইল জেলা ক্রীড়া সংস্থা
Sports Associations of Narail District
নড়াইল জেলা ক্রীড়া সংস্থা সৃষ্টি লগ্নে এটা ছিল নাম সর্বস্ত প্রতিষ্ঠান। এর নিজস্ব কার্যালয় ছিল না, মুলত জেলা প্রশাসক মহাদয়ের অফিস সহকারী রামকৃষ্ণ বিশ্বাসের টেবিলের ড্রয়ারের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল এই সংস্থা। আর স্টেডিয়াম বলতে কিছুই ছিল না। বর্তমান স্টেডিয়ামে যেখানে ঐ খানে ছিল গোচারণ ভূমি ও খোলা একটা বাগান। কোথাও কোমর, কোথাও বুক সমান খানা খন্দর ও গর্ত ছিল। মুলত: জেলার সমস্ত ক্রীড়া কর্মকান্ড, বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবসসহ সমস্ত রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানাদি জেলা স্কুল মাঠ অনুষ্ঠিত হতো। পরবর্তীতে আস্তে আস্তে ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে গো-চারণ ভূমিতে স্থানীয় জনগণের উদ্যোগে একটি প্যাভেলিয়ন বিল্ডিং র্নিমাণ করা হয়। প্রথমে এক তলা, পরবর্তীতে আস্তে আস্তে তিন তলা একটি পূর্ণাঙ্গ প্যাভেলিয়ান বিল্ডিং নির্মিত হয়েছে। সংস্থার কর্মকর্তাদের বসবার মত আসবাব পত্রও ছিল না। বর্তমান চেয়ার টেবিল ও সুসজ্জিত আসবাবপত্রসহ একটা প্যাভেলিয়ান বিল্ডিং অফিস ঘর সম্পূর্ণ বেসরকারী উদ্যোগে নির্মিত হয়েছে। আর গো- চারণ ভূমি বর্তমান যেটা খেলার মাঠ ও স্টেডিয়াম এটাও স্থানীয়ভাবে নিজস্ব উদ্যোগে পরিপুর্ণ একটা খেলার মাঠে খেলার উপযোগী মাঠে আজ বেশ কয়েক বৎসর আগে পরিণত হয়েছে। এছাড়া স্টেমিয়ামের চারিপার্শ্বে সীমানা প্রাচীর স্থানীয় উগ্যোগে নির্মিত হয়েছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষধ শুধুমাত্র উক্ত সংঠনের পশ্চিম পার্শ্বের দুইটি গ্যালারী নির্মাণ করেছে। নড়াইলে কোন জিমনেসিয়াম নাই । তাই পৌর সভাল একখন্ড জমি বন্দোবস্ত নিয়ে স্থানীয় উদ্যোগে চারিপার্শ্বে ওয়াল দিয়ে উপরে টিনের ছাপড়া দ্বারা ছোট্ট একটি হলরুম করে এখানে দেশের জাতীয় টেবিল টেনিস খেলোয়াড় তৈরির কারখানা নির্মিত হয়েছে। তাই আজ নড়াইলকে বলা হয় টেবিল টেনিসের সুতিকাগার। এছাড়া স্থানীয় উদ্যোগে ৪০ শর্যা্য বিশিষ্ট একটি খোলোয়াড় রেষ্ট হাউস নির্মান করেছে। এখানে স্থানীয় ভাবে ১ম, ২য় ও কিশোর ফুটবল লীগ, ছেলেও মেয়েদের হ্যান্ডবল লীগ, কাবাডী লীগ, ব্যাডমিন্টন লীগ, ভলিবল লীগ, ১ম ও ২য় বয়স ভিত্তিক বিভিন্ন ক্রিকেট লীগ ও টুর্ণামেন্ট বক্সিং, কুস্তি, দাবালীগ, টেবিল টেনিস লীগ ও টুনামেন্ট, ভারোত্তোলন, শরীর গঠন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এ্যাথলেটিকল প্রতিযোগিতা, খো-খো, বাস্কেটবল, সাইক্সিং ক্যারাম প্রতিযোগিতা, সাতার প্রতিযোগিতা প্রতি বৎসর নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন খেলার প্রশিক্ষণের ও আয়োজন হয়ে থাকে। এছাড়া বিভিন্ন আঞ্চলিক বিভাগীয় ও জাতীয় প্রতিযোগিতার সফল আয়োজক বর্তমান নড়াইল জেলার ক্রীড়া সংস্থা। এই সুবিশাল কর্মকান্ড পরিচালনায় মাধ্যমে স্থানীয় ভাবে তৈরি হয়েছে বিভিন্ন ইভেন্টেন অনেক সম্ভবনাময় খেলোয়াড়। বিভিন্ন সময়ে এই জেলায় জাতীয় টিটি চ্যাম্পিয়ান ও রানার্সআপ হয়ে আসছে। আনসার, বিমানসহত ঢাকার বিভিন্ন গু্রুত্বপূর্ণ দলে খেলছে নড়াইলের খোলোয়াড়রা। জাতীয় যুব ভলিবলে নড়াইল জেলা বিভিন্ন সময় চ্যাম্পিয়ন, রানার্স আপসহ বিশেষ অবদান রেখে আসছে। বর্তমান জাতীয় ভলিবল দলের কৃতি খোলোয়াড় রমেশ, আতিক, মিরণ মুন্সী ও লাক্সি ও তৈমুর এই নড়াইল জেলার সন্তান। ভারোত্তোলনে জাতীয় মহিলা দলের অপরিহার্য খোলোয়াড় সূচী। সে বিভিন্ন সময় স্বর্ণ ও রৌপ্য জয়ী স্বনামধন্য খেলোয়াড়। জাতীয় জুনিয়র এ্যাথলেটিকস নড়াইল জেলার এ্যাথলেটরা বিভিন্ন সময় বেশ কয়েকটি স্বর্ণ ও রৌপ্য পদক জয় করেছে। এবারও জাতীয় এ্যাথলেটিক বিভিন্ন সময় বেশ কয়েকটি স্বর্ণ ও রৌপ পজদ করেছে। এবারও জাতীয় এ্যাথলেটিকসে ৮টি স্বর্ণ, ২টি রৌপ্য , এবং ২টি ব্রোঞ্জ পদ বিজয়ী হয়ে রানাস আপ হয়েছে। নড়াইলে অভি দ্রুততম মানবী হয়েছে। এছাড়াও জাতীয় মিনি ও ক্যাডেট কৃস্তি প্রতিযোগিতা নড়াইল জেলার বিভিন্ন সময়ে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ হয়ে আসছে। জাতীয় দলের অংশ নিয়েছে জাকির ও সাইফুল। এশিয়ার জুনিয়র রেসলিং প্রতিযোগিতা জাতীয় দলের হয়ে সাইফুল অংশ নিয়ে রৌপ্য পদক লাভ করেছেন। নড়াইল জেলায় বিভিন্ন সময়ে আঞ্চলিক ও বিভাগীয় হ্যান্ডবল, ভলিবল, ক্রিকেট, ফুটবল চ্যাম্পিয়ন হয়ে আসছে। বর্তমান বাংলাদেশে ক্রিকেট দলের অপরিহার্য্য খেলোয়াড় সে বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে পরিচিত করতে অন্যতম ভূমিকা রেখেছে সেই মাশরাফি বিন মোত্তর্জা কৌশিক নড়াইলের সৃষ্টি। অনুর্ধ ১৯ জাতীয় দলের কৃতি ক্রিকেটার ডলার মাহমুদ অনুর্ধ ১৩ জাতীয় দলের কৃমি ক্রিকেটার তানিন নড়াইল জেলার সন্তান। এছাড়াও ফুটবলে এক সময়ে মাঠ কাঁপানো খেলোয়াড় আবহনীর বড় ইউসুফ, আরামবাগের আজিবর, ওয়ারীর টুকু, বিআরটিসির মিজান, আজাদের টিটু নড়াইলের খোলোয়াড়। (আশিকুর রহমান মিকু-সাধারণ সম্পাদক-নড়াইল জেলা ক্রীড়া সংস্থা।)
কিন্তু এখন সে অবস্থার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। “ খোলা দুয়ার’ নীতির কারণে চীনের বাজারে ঢুকছে বিদেশী পণ্য ও প্রযুক্তি। তাবৎ দুনিয়া এখন মুখিয়ে উঠেছে বৃহত্তম জন- অধ্যুষিত চিনের বাজার দখল করতে। অন্যদিকে, সারা বিশ্বে চীন এখন সবচেয়ে সন্তায় পণ্য উৎপান ও বাজারজাত করছে। চীনা পণ্য এখন সারা দুনিয়ার বাজারে বন্যার স্রোতের মত ঢুকছে। পাশ্চাত্যে তাই এখন চীন (ম্যান্ডরিন) ভাষা শেখার প্রতিযোগিতা। শুধু পশ্চিমে কেন, অর্থনীতিতে চাঙ্গা করার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত এমন সব উন্নয়নশীল দেশের ক্ষেত্রেও এই কথা সমান সত্য। আজকে যে তরুণ ইনফরমেশন টেকনোলজিতে নিজেকে দক্ষ করে তুলেছে তাকে হয়ত আফ্রিকার কোন দেশে কাজ করার জন্য সে দেশের ভাষা শিখতে হচ্ছে। হতে পারে তা বান্টু বা জুলুদের ভাষা। এই বাস্তবতা মেনে নিয়েই আজকের তরুণদের ভাষা ও কাজ দুটোই শিখতে হবে। শুধু ইংরেজী ভাষা শিখে বিশ্বের বাজারে কল্পে পাওয়ার সেদিন হয়েছে বাসি। ভাষার উপযোগিতার প্রশ্ন যখন উঠল তখন বিনিয়োগ ও লাভের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক কারণে যদি আমাদের ইংরেজী ভাষা শেখা দরকার হয় তাহলে প্রশ্ন উঠাবে বাংলাদেশের ১৪ কোটি মানুষের মধ্যে কতজনের সেই ইংরেজী জানা প্রয়োজন ? যদি তার সংখ্যা এক লক্ষও হয়, তবে সেজন্য গোটা জাতির ঘাড়ে সে ভাষার ভার দেওয়া কেন? গোটা জাতিকে এই বিদেশী ভাষা শেখাবার জন্য কত কোটি টাকা লগ্নি করা প্রয়োজন হবে? বাংলাদেশের মত একটি গরিব দেশ কি সেই অর্থ যোগান দিতে পারে? অর্থনৈতিক।
সংগ্রহ:
আশিকুর রহমান মিকু
জাতীয় ভলিবল ফেডারেশন কর্মকর্তা